জাপান-হংকংয়ে দ্বিতীয় দফায় করোনা ‘বিষ্ফোরণের’ শঙ্কা
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনার ‘বিষ্ফোরণ’ রোধে ফের আইসোলেশন পদক্ষেপ জোরালো করেছে টোকিও কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যাতে ভেঙ্গে পড়তে না পারে তাই জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে হংকং। এতে করে পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।জাপানকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সফল ভাবা হচ্ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর টোকিওর গভর্নর নগরের বাসিন্দাদের ‘যে কোনো মূল্যে’ ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ এর ‘বিষ্ফোরণ’ ঠেকানোর জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি অভিহিত করে এমন আহ্বান জানান তিনি।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পুনরায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির পর গভর্নর ইউরিকো কোইকে এই পরিস্থিতিকে মারাত্মক আখ্যা দেন। তবে অন্যান্য দেশ মানুষের চলাচলের ওপর যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার দেশটির বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল জানায়, তারা আশঙ্কা করছে জাপানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তারপর এই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে যে, সরকার হয়কো মানুষের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করতে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা নিয়েও কিছু হতে পারে।
চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়েরও অবস্থা একই। সেখানকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করার মতো পদক্ষেপ যদি সরকার না নেয় তাহলে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধসে পড়বে। নতুন করে সেখানে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ হো পাক-লিউন বলেন, হংকং সরকার যদি কারফিউ জারি কিংবা লকডাউনের মতো কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। হংকংকে মহামারিটি মোকাবিলায় সফল ভাবা হচ্ছিল কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলো ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে।